মূত্রথলি সুস্থ রাখার উপায়
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০১৮

অনলাইন ডেস্ক
কিডনির সুস্থতার জন্য মূত্রথলি সুস্থ রাখা প্রয়োজন। এটি শরীরের এমন একটি গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ যা মূত্র ত্যাগের মাধ্যমে কিডনির কার্যকারিতা ঠিক রাখে। বিভিন্ন কারণে মূত্রথলির সমস্যা হতে পারে। তখন প্রস্রাবের সঙ্গে তীব্র ব্যথা বা ইউরিনে ইনফেকশন দেখা দেয়। জীবনযাপন পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন এবং ব্যায়াম মূত্রথলি সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। যেমন-
অনেকে আছেন দীর্ঘক্ষন প্রসাব আটকে রাখেন বা সময়মতো মূত্রথলি খালি করেন না। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এতে মাংসপেশী শক্ত হয়ে ইউরিন আবার মূত্রথলিতে ফিরে যায়।এর ফলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া ঢুকে যেতে পারে। অনেকে আবার বাড়ির বাইরে গেলে অস্বাস্থ্যকর টয়লেট দেখলে যেতে চান না।টয়লেটের সিটেও ঠিকমতো বসেন না। এতেও মাংসপেশীর উপর চাপ তৈরি হয়ে মূত্রথলিতে সমস্যা সৃষ্টি হয়।এ কারণে জোর করে প্রসাব আটকে রাখা ঠিক নয়।
অতিরিক্ত কফি বা অ্যালকোহল পান করলে মূত্রথলির ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে এ ধরনের পানীয় পান করার ব্যাপারে সাবধান হন। তা না হলে মূত্রথলির কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে।
কিছু খাবার আছে যেগুলো মূত্রথলি বা ব্লাডারের জন্য ক্ষতিকর। এর মধ্যে চকলেট, ঝাল খাবার , টমেটো এগুলো উল্লেখযোগ্য। মূত্রথলি সূত্র রাখতে এসব খাবার এড়িয়ে চলুন।
ধূমপানের কারণে মূত্রথলির ক্যান্সার হতে পারে। তাই মূত্রথলি সুস্থ রাখতে ধূমপান ত্যাগ করুন।
মূত্রথলি ভাল রাখতে নিয়মিত হাঁটুন। এতে মাংসপেশী শিথিল হয়ে মূত্রথলি সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।এছাড়া মাংসপেশ শিথিল রাখার আলাদা কিছু ব্যায়াম আছে সেগুলো অনুসরন করুন।
দিনের প্রয়োজনীয় পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
© স্বত্ব | সমকাল ২০০৫ - ২০১৮
সংশ্লিষ্ট খবর
মন্তব্য যোগ করুণ
↓
পরের
খবর
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় কচু শাক
আরও খবর

অনলাইন ডেস্ক
কচু দক্ষিন এশিয়া ও দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার সুপরিচিত একটি সবজি। এর কাণ্ড সবজি এবং পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হয়।কচুর কাণ্ড ও পাতা-সবকিছুতেই প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে।
কচু শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিণ, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ডিটারেরী ফাইবার, শর্করা, বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে।
নিয়মিত কচু শাক খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যাবে-
১. কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে । এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কচু শাক খেলে কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। আরেক গবেষণা বলছে, কচু শাক স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুন কার্যকরী।
২. কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এ কারণে এটি দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া চোখ সম্পর্কিত জটিলতা কমায়।
৩. কচু শাকে থাকা স্যাপোনিনস,টেনিনস, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্লাভোনয়েড উচ্চ রক্তচাপ কমায়।নিয়মিত কচু শাক খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
৪. যেহেতু কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এ কারণে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. কচু শাক রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে নিয়মিত এই শাকটি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
৬. কচু শাক হজমশক্তি বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।
৭. অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরী ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকায় কচু শাক যেকোন ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৮. যারা রক্তস্বল্পতায় ভূগছে তারা নিয়মিত কচু শাক খেতে পারেন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা রক্তশূন্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কচু শাক খেলে কারও কারও অ্যালার্জির সম্ভাবনা বেড়ে যায় । শরীরে র্যা শ দেখা দেয়, চুলকানি হয়। এ কারণে যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে তাদের এই শাক খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেয়া উচিত। সূত্র : বোল্ড স্কাই
© স্বত্ব | সমকাল ২০০৫ - ২০১৮
↓
পরের
খবর
হজমশক্তি বাড়ায় পুদিনা চা
আরও খবর

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় অনেকে পুদিনা পাতার চা পান করতে পছন্দ করেন। শুধু স্বাদ বা গন্ধের জন্য নয়, অনেক অঞ্চলে এই চা ওষুধি হিসাবেও ব্যবহার করা হয।
বিভিন্ন উপায়ে পুদিনা চা শরীরের উপকার করে। এই চা শরীর শীতল করে এবং শক্তি বাড়ায়। একই সঙ্গে মাথা ব্যথা, সাইনাস এবং পেটের সমস্যার জন্য এটি দারুন উপকারী।
পুদিনা চা হজমশক্তি বাড়ায় এবং প্রদাহজনিত ব্যথা কমায়। এটি মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তি দেয়। মুখের দুর্গন্ধ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এই চা কার্যকরী।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল কমাতে পুদিনা চা দারুন কাজ করে। জ্বর সারাতেও এই চা উপকারী।
যেভাবে তৈরি করবেন পুদিনা চা
১. প্রথমে একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিন
২. এবার জ্বাল কমিয়ে পানিতে পুদিনা পাতা ছেড়ে দিন। পাতাগুলো শুকনো কিংবা তাজা-সবরকমই হতে পারে। এখন পাতাগুলো ৫ থেকে ১০ মিনিট ফুটান।
৩. ভালভাবে জ্বাল হলে চুলা বন্ধ করে দিন।
৪. ব্যস তৈরি হয়ে গেল পুদিনা পাতা।
স্বাদ বাড়াতে পুদিনা চায়ে মধু যোগ করতে পারেন। সূত্র : অর্গানিক ফ্যাক্টস
© স্বত্ব | সমকাল ২০০৫ - ২০১৮
↓
পরের
খবর
পিঁপড়ার কবল থেকে চিনি বাঁচাবেন যেভাবে
আরও খবর
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক
বাড়িতে যেখানেই চিনি রাখুন না কেন পিঁপড়া ধরে যায়। পিঁপড়ের হাত থেকে চিনি বাঁচাতে কতজন কতভাবেই না চেষ্টা করেন। অনেকে পলিথিনের প্যাকেটে চিনি মুড়ে সেটি কোনও শক্ত ঢাকনাওয়ালা পাত্রে রাখেন। কেউ আবার পিঁপড়ার হাত থেকে চিনিকে সুরক্ষিত রাখতে পাত্রটা ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু তারপরও পিঁপড়ার হাত থেকে মুক্তি মেলে না। এমন কয়েকটি উপায় আছে যেগুলি অনুসরণ করলে চিনির পাত্রে পিঁপড়া ধরবে না। যেমন-
১. চিনি বা খাবারের গন্ধ যেমন পিঁপড়াকে আকৃষ্ট করে, তেমনই কিছু গন্ধ এমনও রয়েছে যেগুলি পিঁপড়ারা মোটেই সহ্য করতে পারে না। তেমনিই একটা জিনিস হচ্ছে লেবুর খোসা। এক টুকরা লেবুর খোসা চিনির পাত্রে রেখে দিন। ২ থেকে ৩ দিন পর পর সেটি বদলে ফেলুন। এতে চিনির পাত্রের ধারে-কাছেও আসবে না পিঁপড়ার দল।
২. চিনির পাত্রে একটি তেজ পাতা রেখে দিন। কয়েকদিন পর পর পাতাটি বদলে দিন। তেজ পাতার গন্ধ পিঁপড়া মোটেও সহ্য করতে পারে না।
৩. দারুচিনির গন্ধও পিঁপড়ারা সহ্য করতে পারে না। তাই মাঝারি মাপের দুই একটা দারুচিনির টুকরা চিনির পাত্রে রেখে দিন।এতেও পিঁপড়া দূর হবে।
৪. চিনির পাত্রে একটি বা দুটি লবঙ্গ রেখে দিন। কয়েকদিন পর পর এটি বদলে ফেলুন।লবঙ্গের গন্ধ পেলে পিঁপড়ারা চিনির পাত্রের কাছে আসবে না। সূত্র : জি নিউজ
© স্বত্ব | সমকাল ২০০৫ - ২০১৮
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭ (প্রিন্ট পত্রিকা), +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ (অনলাইন) । ইমেইল: ad.samakalonline@outlook.com