কুইবেকে মসজিদে গুলি চালিয়ে ৬ জনকে হত্যাকারীর যাবজ্জীবন
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আলেক্সান্দ্রে বিসোনেট— বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক
কানাডার কুইবেকে মসজিদে গুলি চালিয়ে ছয়জনকে হত্যাকারী যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
শনিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, আলেক্সান্দ্রে বিসোনেট নামের ২৯ বছর বয়সী ওই যুবক ৪০ বছর পর প্যারোলে মুক্তির জন্য বিবেচিত হবেন।
মামলার শুনানিতে বাদীপক্ষ সবমিলিয়ে আলেক্সান্দ্রেকে ১৫০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার আবেদন করে। তবে আসামি আলেক্সান্দ্রে যাতে তার স্বাভাবিক জীবন সীমার মধ্যেই প্যারোলে মুক্তির আবেদন করতে পারেন সেটা বিবেচনায় নিয়েই রায় দেন বিচারক।
২০১৭ সালে ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আলেক্সান্দ্রে কুইবেকের ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে ঢুকে সেখানে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ওপর গুলি চালান। এতে ছয়জন নিহত ও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়।
ওই বছরের মার্চে গুলি করে ছয়জনকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় আলেকজান্দ্রে। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, 'আমি যা করেছি তার জন্য আমি লজ্জিত ও অনুতপ্ত। আমি সন্ত্রাসী নই, আমি ইসলামবিদ্বেষী নই।'
রায়ে বিচারক বলেন, আলেক্সান্দ্রের মানসিক সমস্যা ছিল এবং সে কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে মসজিদে ঢুকে গুলি চালায়।
এদিকে এ রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট নয় জানিয়ে তাদের আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা রায়ে হতাশ হয়েছেন।
তিনি বলেন, যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার ব্যাপকতা রায়ে প্রতিফলিত হয়নি।
© স্বত্ব | সমকাল ২০০৫ - ২০১৮
সংশ্লিষ্ট খবর
মন্তব্য যোগ করুণ
↓
পরের
খবর
১০ টাকায় শাড়ি কিনতে গিয়ে...
আরও খবর

ছবি: এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক
শপিংমলে প্রায়ই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য পণ্যের ওপর মূল্যছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ভারতের তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদের একটি শপিংমলে ছাড়ে শাড়ি কিনতে গিয়ে সেখানে ঘটেছে রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড!
এনডিটিভি জানায়, হায়দরাবাদের সিএমআর নামক একটি শপিং মলে ১০ টাকায় শাড়ি বিক্রি হচ্ছে এমন খবর শুনে ওই মলে ভিড় জমায় নারীরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভির এমন পর্যায়ে ঠেকে যে শেষ পর্যন্ত পুলিশ ডাকতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, আচমকা ৪০০ জন নারী ওই মলে ঢুকে পড়লে সেখানে অপ্রিতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি শুরু হয়। এ ঘটনায় আহত হন অনেকে। এই্ অপ্রিতকর মুহূর্তের ঘটনাটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এক নারী জানান, ভিড়ের সুযোগ নিয়ে সেখানে আসা নারীদের অনেক মূল্যবান জিনিস হাতিয়ে নিয়েছে চোরেরা।
পুলিশ জানায়, হঠাৎ করে ভিড় বেড়ে যাওয়ায় ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়ে যায়, সেই সময়ই এক মহিলা পড়ে যান। বাকি নারীরা ছুটে গিয়ে ওই দোকানের শাটার ভেঙে দেন। তিনজন মহিলা আহত হন। মলের অন্যান্য দোকানের কর্মীরাও এমন ঘটনা আশা করেননি।
স্থানীয় পুলিশ এ ঘটনায় ওই মলের ম্যানেজারকে আটক করেছে।
© স্বত্ব | সমকাল ২০০৫ - ২০১৮
↓
পরের
খবর
ট্রাম্পের জরুরি আইনের বিরুদ্ধে ১৬ অঙ্গরাজ্যের মামলা
আরও খবর
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জরুরি আইন জারিকে অসাংবিধানিক হিসেবে অভিহিত করে অবিলম্বে তা বাতিল দাবিতে১৬ অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ার নর্দার্ণ ডিস্ট্রিক্ট ফেডারেল কোর্টে করা এই মামলায় বাদী হয়েছেন নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, কলরাডো, কানেকটিকাট, দেলওয়ারে, হাওয়াই, ইলিনয়, মেইন, ম্যারিল্যান্ড, মিনেসোটা, নেভাদা, নিউজার্সি, নিউ মেক্সিকো, ওরেগণ, ভার্জিনিয়া এবং মিশিগান। সবকটি অঙ্গরাজ্যই ডেমক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে।
উল্লেখ্য, মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে উঁচু দেয়াল নির্মাণের জন্যে ৫.৭ বিলিয়ন ডলার চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু কংগ্রেস সে অর্থ না দেয়ায় ক্ষুব্ধ ট্রাম্প গত শুক্রবার জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। ট্রাম্পের ধারণা এই জরুরি আইনের পর দেয়াল নির্মাণের অর্থ বরাদ্দে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, দেয়াল নির্মাণে কংগ্রেসের অনুমতি লাগবেই। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সীমান্ত এলাকায় জরুরি আইন জারি করে সেই অনুমোদনকে গৌন করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আর এর মধ্যদিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবিধানিক সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রকে।
জরুরি অবস্থা জারির সময় দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প নিজেও স্বীকার করেছেন, সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের ক্ষেত্র তৈরির জন্যে জাতীয় জরুরি আইন জারির প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু খুব দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করতে জরুরীরি আইনের বিকল্প নেই।
১৬ অঙ্গরাজ্যের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেছেন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এটর্নি জেনারেল জেভিয়ার বিসেরা। এক টুইট বার্তায় জেভিয়ার বলেছেন যে, ট্রাম্প জাতীয় জরুরি অবস্থার যে ভুয়া অজুহাত দেখিয়েছেন; আমরা তাকে চ্যালেঞ্জ করেছি। এহেন আদেশ জারির মাধ্যমে জনসাধারণের সাথে তামশা করা হয়েছে, ট্যাক্সের অর্থ অপচয় ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সংবিধান প্রদত্ত গণতান্ত্রিক অধিকারকে অবদমিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র সংবিধান যে ক্ষমতা দিয়েছে কংগ্রেসকে, তাও কেড়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে জরুরি অবস্থা জারির মধ্য দিয়ে। কংগ্রেসের অনুমোদন ব্যতিত প্রেসিডেন্টের কোন ক্ষমতাই নেই সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থ ব্যয় করার।
এর আগে ওয়াশিংটনে আরেকটি মামলা করেছে ‘সিটিজেন ফর রেসপন্সিবিলিটি এ্যান্ড এ্যাথি' নামক একটি নাগরিক সংস্থা। সে মামলায় বিচার বিভাগকে অভিযুক্ত করা হয়েছে যে, তারা প্রেসিডেন্টকে এমন আদেশ জারি থেকে বিরত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে।
© স্বত্ব | সমকাল ২০০৫ - ২০১৮
সংশ্লিষ্ট খবর
↓
পরের
খবর
ভারতের কাছে প্রমাণ চাইছে পাকিস্তান
আরও খবর
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে দায়ী করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
মঙ্গলবার এক টেলিভিশন বক্তৃতায় ওই হামলার জন্য পাকিস্তান জড়িত বলে ভারত যে অভিযোগ তুলেছে তিনি তার 'প্রমাণ দেখাতে বলেছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় দেশটির কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) ৪০ সদস্যের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাশ্মিরের নাগরিকদের হেনস্থা, তাদের উপর অত্যাচারের নানা ঘটনা সামনে এসেছে। পুলওয়ামা-কাণ্ড ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ফের জটিল করে তুলেছে।
পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ ওই হামলার দায় স্বীকার নিয়েছে। তবে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য আসেনি এ ব্যাপারে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবারই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে মুখে খোলেন ইমরান খান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়া ভারতে এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা বন্ধ করতে হবে। যদি তাদের কাছে এ হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার প্রমাণ থাকে তবে সেগুলো তারা আমাদের কাছে উপস্থাপন করুক। ভারত যদি আক্রমণ করে তবে পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিশোধ নেবে।
পরষ্পরকে দোষারোপ করা বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইমরান খান বলেন, একমাত্র দুইপক্ষের আলোচানই পারে এর সমাধান করতে।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, পুলওয়ামা-কাণ্ড বুঝিয়ে দিয়েছে আলোচনার রাস্তা বন্ধ। সন্ত্রাসবাদী ও তার মদদদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্বশক্তিকে এখন একজোট হতে হবে।
এরপরই বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা হতে থাকে আরও। মঙ্গলবার জঙ্গিদের পাশাপাশি কাশ্মীরের সাধারণ নাগরিকদেরও কঠোর বার্তা দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। কাশ্মীরে কেউ অস্ত্র হাতে তুলে নিলেই তাকে গুলি করা হবে এমন নির্দেশ দেয় তারা।
এমন পরিস্থিতিতে অবশেষে টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে হামলা ও দুই দেশের মধ্যকার সাম্প্রতিক সমস্যা নিয়ে কথা বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
© স্বত্ব | সমকাল ২০০৫ - ২০১৮
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭ (প্রিন্ট পত্রিকা), +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ (অনলাইন) । ইমেইল: ad.samakalonline@outlook.com