জাতীয় রফতানি ট্রফি পেল ৫৬ প্রতিষ্ঠান
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০১৮

হা-মীম গ্রুপের রিফাত গার্মেন্টস স্বর্ণপদক ও হা-মীম গ্রুপের দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে রফতানি ট্রফি নিচ্ছেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ -সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
রফতানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় রফতানি ট্রফি পেয়েছে ৫৬ প্রতিষ্ঠান। স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ এ তিন শ্রেনীতে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য এ মর্যাদা পেল এসব প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন খাতে রফতানির পরিমাণসহ আরও সূচকের ভিত্তিতে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ পদকের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ট্রফি তুলে দেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পদকের জন্য প্রধান ২৫ ধরনের পণ্যের রফতানি আয় ও প্রক্রিয়া বিবেচনায় নেওয়া হয়। এগুলো হলো তৈরি পোশাকের ওভেন ও নিট, সব ধরনের সুতা, বস্ত্র, হোম টেপটাইল, হিমায়িত খাদ্য, কাঁচা পাট, পাটজাত পণ্য, চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, চা, কৃষি পণ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, ফুল, হস্তশিল্প, মেলামাইন, প্লাস্টিক পণ্য, সিরামিকস, হালকা প্রকৌশল পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস পণ্য এবং ওষুধ।
স্বর্ণ পদক পেল ২৫ প্রতিষ্ঠান : সবচেয়ে বেশি রফতানি আয় করায় সেরা রফতানিকারক ট্রফি পেল জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিপ। প্রতিষ্ঠানটি আলাদা করে স্বর্ণ পদক পেয়েছে। এছাড়া স্বর্ণপদক পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে হা-মীম গ্রুপের রিফাত গার্মেন্টস, স্কয়ার ফ্যাশনস, স্কয়ার টেপটাইল, স্কয়ার ফার্মা, এনভয় টেপটাইল, নোমান টেরিটাওয়েল, সী মার্ক বিডি, উত্তরা পাট সংস্থা, আকিজ জুট মিলস, পিকার্ড বাংলাদেশ, বে-ফুটওয়্যার, মনসুর জেনারেল ট্রেডিং, প্রমি এগ্রো ফুড, রাজধানী এন্ট্রাপ্রাইজ, কারুপণ্য রংপুর, আরএফএল গ্রুপের বঙ্গ প্লাস্টিক, শাইন পুকুর সিরামিকস, ইউনিগ্লোরী সাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ, মেরিন সেফটি সিস্টেম, সার্ভিস ইঞ্জিন, ইউনিভার্সেল জিন্স, আরএম ইন্টারলাইনিংস এবং মন ট্রিমস।
রৌপ্য পদক : রৌপ্য পদক পাওয়া ১৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে অনন্ত গার্মেন্টস, ফোর এইচ ফ্যাশনস, জোবায়ের স্পিনিং, প্যারামাউন্ট টেপটাইল, জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস, জনতা জুট মিলস, আর এম এম লেদার, এফবি ফুটওয়্যার, হেরিটেজ এন্টারপ্রাইজ, স্কয়ার ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ, ক্লাসিক্যাল হ্যান্ড মেইড বিডি, বেঙ্গল প্লাস্টিক, বিএসআরএম স্টিলস, ইনসেপ্টা ফার্মা, গ্রাফিক পিপল, প্যাসিফিক জিনস ও ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং।
ব্রোঞ্জ পদক : ব্রোঞ্জ পদক পাওয়া ১৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে হা-মীম গ্রুপের দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার, জিএমএস কম্পোজিট, জাবের স্পিনিং মিলস, নোমান টেপটাইল, কুলিয়ার চর সী ফুডস, রহমান জুট স্পিনার্স, লেদারেপ ফুটওয়্যার, আকিজ ফুটওয়্যার, সবজিআনা, কোর দি জুট ওয়ার্কস, ডিউরেবল পল্গাস্টিকস, বেপিমকো ফার্মা, জিন্স ২০০০ ও ডিবি টেপ।
রফতানি বাণিজ্যে উৎসাহ দেওয়া এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন খাতের এসব প্রতিষ্ঠানকে রফতানি পদক দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে রফতানি আয়, আয়ের প্রবৃদ্ধি, নুতন পণ্য সংযোজন, নতুন বাজার ও পরিবেশসম্মত উৎপাদন পরিবেশকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি এসব সূচক বিশ্নেষণের মাধ্যমে জাতীয় রফতানি ট্রফির জন্য যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করে। ইপিবি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, (এনবিআর) বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), এফবিসিসিআইসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী চেম্বারের প্রতিনিধিরা এ কমিটির সদস্য।
© স্বত্ব | সমকাল ২০০৫ - ২০১৮
সংশ্লিষ্ট খবর
মন্তব্য যোগ করুণ
↓
পরের
খবর
বইমেলায় বিকাশ
আরও খবর

অনলাইন ডেস্ক
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইয়ের কেনা-বেচা জমে উঠেছে। নগদ টাকা দিয়ে যেমন বই কিনছেন পাঠক তেমনি বিকাশেও পেমেন্ট দিচ্ছেন। বইমেলা উপলক্ষে ক্যাশব্যাক অফার দিচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
বিকাশ অ্যাপে পেমেন্ট করলে ৩২% ছাড়া পাচ্ছেন ক্রেতা। প্রকাশকের দেয়া ২৫% ছাড়ের পরে বিকাশ অ্যাপ পেমেন্টে মিলছে ১০% ক্যাশব্যাক। ফলে একটি বই কিনতে ৩২% ছাড়া পাচ্ছেন ক্রেতা।
একজন প্রকাশক জানান, তাদের স্টলের ৫০ ভাগের বেশি বিক্রি হওয়া বইয়ের পেমেন্ট হচ্ছে বিকাশে।
বইমেলায় বই কিনতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তপতী বলেন, এবারের বই মেলায় আমার পছন্দের চারটি বই কিনতে ৬০০ টাকার মত লেগেছে। বিকাশে পেমেন্ট করে ৬০ টাকা ক্যাশব্যাক পেয়েছি। ক্যাশব্যাকের টাকা দিয়ে একটি কবিতার বই কিনেছি।
মেলা প্রাঙ্গনে আছে বিনামূল্যে বিকাশ একাউন্ট খোলার সুবিধাও। বসুন্ধরা এলাকার বাসিন্দা নাজনীন আখতার জানান, এখন বিকাশে কেনাকাটায় নানান ধরনের ক্যাশব্যাক থাকে। বইমেলায় এসে দেখলাম ছবি তুলেই একাউন্ট খুলে দিচ্ছে। এখানেই একাউন্ট খুলে ফেললাম।
বিকাশ সূত্রে জানা যায়, সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট থাকলে একাউন্ট খোলা যাচ্ছে সহজেই। বুথেই ছবি তুলে এবং পরিচয়পত্রের ফটোকপি করে একাউন্ট খোলা হচ্ছে। বুথের কর্মীরা বিকাশের ব্যবহার এবং ক্যাশব্যাক অফারের তথ্যগুলোও উপস্থাপন করছেন গ্রাহকের চাহিদা অনুসারে। গ্রাহকদের সুবিধার জন্য মেলায় ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউটের ব্যবস্থাও রয়েছে। একজন ক্রেতা বিকাশ পেমেন্টে মেলা চলাকালীন সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেতে পারেন।
বইমেলা উপলক্ষে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়েতেও ক্যাশব্যাক অফার রয়েছে। যারা সময় সুযোগ করে বইমেলায় এসে পছন্দের বইগুলো কিনতে পারছেন না তারা রকমারি অনলাইন শপে বই কিনে বিকাশ পেমেন্ট গেটওয়েতে পেমেন্ট করে একই সুযোগ পাবেন। অনলাইনে বই কেনাতেও বিকাশ পেমেন্টে থাকছে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যক।
© স্বত্ব | সমকাল ২০০৫ - ২০১৮
↓
পরের
খবর
দেশে গাড়ি বানাবে নিটল টাটার যৌথ কোম্পানি
আরও খবর
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সমকাল প্রতিবেদক
দেশে গাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে নিটল-নিলয় গ্রুপ। ভারতের বিখ্যাত মোটর গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টাটা মোটরসের সঙ্গে যৌথভাবে কারখানা স্থাপন করবে তারা। এ জন্য যৌথ মালিকানায় নিটা নামে একটি কোম্পানি গঠন করেছে।
এ কোম্পানি কিশোরগঞ্জে ইতিমধ্যে মিনি ট্রাক তৈরির কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব ব্যাটারিচালিত ব্যক্তিগত গাড়ি তৈরিও করবে এ কোম্পানি। নিটল-নিলয় গ্রুপের উদ্যোগে ৯১ একর জমিতে স্থাপিত কিশোরগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এ কারখানা স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।
সোমবার কিশোরগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্ত সনদ দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ইজেডের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহ্মাদের হাতে লাইসেন্স তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের সবধরনের সেবা দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে শিগগির ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা হবে। বিনিয়োগকারীদের তখন আর জটিলতায় পড়তে হবে না। তিনি বিনিয়োগকারীদের আগের প্রযুক্তি না এনে আগামী দিনের প্রযুক্তি আনার আহ্বান জানান।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, বেজার এখন ৪০ হাজার একরের ল্যান্ড ব্যাংক। এসব জমিতে দেশ-বিদেশি বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে এসেছেন। দেশের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বাড়লেও সহজে ব্যবসা পরিচালনা এখনও বড় বাধা। এটি সমাধান হচ্ছে।
তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এ ইজেডের জন্য একটি ট্রেড লাইসেন্সের কারণে চূড়ান্ত সনদ পেতে ৬ মাস দেরি হয়েছে। এখন থেকে ইজেডের ট্রেড লাইসেন্স কয়েক মিনিটে দেবে বেজা। এ বিষয়ে গেজেট হয়ে গেছে। এ ছাড়াও ২০টি আইন থেকে বেজাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে যাতে বিনিয়োগকারীদের সহজে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়।
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, দক্ষতা উন্নয়নে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে সার্টিফিকেট দিচ্ছে। তাদের সংস্থা সব কারিকুলাম ঠিক করে দেবে ও সার্টিফিকেট দেবে, যা দিয়ে দেশে ও বিদেশে কাজ পাওয়া সহজ হবে।
নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ বলেন, দেশের ক্ষতি হবে এমন ব্যবসা তারা করবেন না। দূষণমুক্ত গাড়ি তৈরি করতে নতুন ইজেডে কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জ ইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুসাব্বির আহমাদ বলেন, এ ইজেডে যারা নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসবে তাদের ভাড়া দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে এ জোনের অর্ধেক জমি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বাকি জমি ভাড়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তাদের কোম্পানি মোটরসাইকেল উৎপাদন করছে। এখন গাড়ি তৈরি করা হবে।
অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আইয়ুব ও টাটা মোটরসের কান্ট্রি ম্যানেজার জিতেন্দ্র বাহাদুরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহ্মাদ সাংবাদিকদের বলেন, দেশের বাজার আর গাড়ি আমদানিনির্ভর থাকবে না। এখন দেশে তৈরি গাড়ি স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রফতানি করা হবে। তিনি বলেন, পিকআপ তৈরির পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব ব্যাটারিচালিত ব্যক্তিগত গাড়ি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এ গাড়িতে জাপানে তৈরি ব্যাটারি ব্যবহার করা হবে। এতে একবার চার্য দিলে ২০০ কিলোমিটার যাতায়াত করা যাবে। এ গাড়ির দাম পড়বে ১২ লাখ টাকা। তিনি বলেন, কারখানায় গাড়ির যন্ত্রাংশ, বডিসহ সব কিছুই দেশে তৈরি করা হবে। বর্তমানে যৌথ মালিকানার কোম্পানি নিটার যশোরে একটি বাস ও ট্রাক সংযোজন কারখানা রয়েছে।
© স্বত্ব | সমকাল ২০০৫ - ২০১৮
↓
পরের
খবর
প্রয়োজন আছে বলেই নতুন ব্যাংক অনুমোদন: অর্থমন্ত্রী
আরও খবর
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল । ফাইল ছবি
বিশেষ প্রতিনিধি
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রয়োজন আছে বলেই তিনটি নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তারা সম্পূর্ণ বিচার বিশ্নেষণের ভিত্তিতে নতুন ব্যাংকগুলো অনুমোদন দিয়েছেন।
সোমবার সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যোগদানের আগে বেসরকারি খাতে অনুমোদন পাওয়া নতুন তিন ব্যাংকের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কয়টি ব্যাংক আছে সেটা বড় কথা নয়। ব্যাংকগুলো যদি স্বাভাবিকভাবে চলে, নিয়মনীতি মেনে চলে এবং ব্যাংক যে উদ্দেশ্যে করা সে অনুযায়ী যদি গ্রাহকদের সেবা দিতে পারে, আর নিয়মের মধ্যে থাকতে পারে তাহলে সংখ্যা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় নতুন তিনটি ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো: বেঙ্গল কমার্শিয়াল, দ্যা সিটিজেন ও পিপলস ব্যাংক। এর একদিন পর এ বিষয়ে উপরোক্ত মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
২০১২ সালেও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় ১২টি বেসরকারি ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার পর সমালোচনা হয়েছিল। এরপর গত কয়েক বছর ধরেই বিপুল পরিমাণ খেলাপিঋণ, আর্থিক কেলেংকারি, অনিয়ম আর তারল্য সঙ্কটের কারণে বারবারই আলোচনায় এসেছে দেশের ব্যাংক খাত।
তারপরও গত সরকারের সময় নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের চাপ ছিল। যদিও আগের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, ব্যাংক খাতের আকার বড় হয়ে যাওয়ায় তা সংকোচনের কথা বলেছিলেন। আর অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা দেশে নতুন কোনো ব্যাংকের প্রয়োজন নেই বলে আসছিলেন।
কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের প্রায় দেড় মাসের মাথায়ই নতুন তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তিনটিসহ দেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৬২ তে উন্নীত হতে যাচ্ছে। নতুন তিন ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংশ্নিষ্টতা রয়েছে।
সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে আমি নতুন তিন ব্যাংক নিয়ে পুরোপুরি অবহিত নই। তিনটি ব্যাংক সম্পর্কে আগে জানতে হবে। আমি এখনও ভালো জানি না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলাপ করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেবো। তারপর আপনাদের জানাবো। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেহেতু অনুমোদন দিয়েছে, প্রয়োজন না থাকলে এ কাজ করতো না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হয়তো প্রয়োজন অনুভব করেই অনুমোদন দিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের যে ব্যাংকগুলো আছে তাদের পরিশোধিত মূলধন ৪শ' থেকে ৫শ' কোটি টাকা। এটা কিছুই নয়। বিদেশি কোনো ব্যাংকের একটি ব্রাঞ্চের যে মূলধন আছে তা আমাদের বিশটি ব্যাংকেরও নেই। ফলে ব্যাংকের সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করলে চলবে না। বিবেচনা করতে হবে ব্যাংকের চাহিদা আছে কি-না।
খেলাপিঋণের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, খেলাপিঋণ দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে। এসব খেলাপিঋণ থেকে কিভাবে অব্যাহতি পেতে পারি সে বিষয়ে আমরা কথা বলছি। আমার মনে হয়, সহসাই একটি সমাধানে আসতে পারবো। খেলাপিঋণ যতই বেড়ে যায় ততই ব্যাংকের খরচ বাড়ে। বাড়ে ব্যাংক সুদ হার। এটা আমাদের কমাতেই হবে। এ জন্য বিশেষ অডিটের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
© স্বত্ব | সমকাল ২০০৫ - ২০১৮
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭ (প্রিন্ট পত্রিকা), +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ (অনলাইন) । ইমেইল: ad.samakalonline@outlook.com